নেসলে নিউট্রিশন ইনস্টিটিউটের (এনএনআই) আয়োজনে রাজধানীর লে মেরিডিয়ান হোটেলে ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম অন পেডিয়াট্রিক নিউট্রিশন’ (পিজিপিএন) শীর্ষক সম্মাননা প্রকল্পের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে বাংলাদেশের ১শ’ ১০ জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়।সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া।অনুষ্ঠানে সমার্বতন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক (ডা.) সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। এনএনআই ও যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের মধ্যে বছরব্যাপি এ সম্মাননা প্রকল্প চালু করে।এমনভাবে সম্মাননা প্রকল্পটির পরিকল্পনা করা হয়েছে যার মাধ্যমে, পুষ্টি ও শিশুস্বাস্থ্যের মূল বিষয়গুলোর সর্বশেষ ও প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং প্রায়োগিক জ্ঞান নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনলাইন উপস্থাপনা, অনলাইনে বিভিন্ন ঘটনার উপস্থাপন, বক্তৃতা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালার আয়োজন ও সার্টিফিকেট হস্তান্তরের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়। এ বছর এ সম্মাননা প্রকল্পে ১২শ’ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করেন ১শ’ ১০ জন। সার্টিফিকেট গ্রহণকারীরা এ সম্মাননা প্রকল্পের অ্যালামনাই হবেন ও সুবিধাপ্রাপ্ত হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে অভিনব, দায়বদ্ধ ও অতি প্রয়োজনীয় এ উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেসলে নিউট্রিশন ইনস্টিটিউট ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ দিতে চাই। পাশাপাশি আমি উপস্থিত, এ সম্মাননা প্রকল্পের সকল অংশগ্রহণকারীকে অভিনন্দন জানাতে চাই।তিনি আরও বলেন, সরকার সবসময়ই এ ধরনের উদ্যোগকে সহায়তা দিয়ে আসছে এবং প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যদের পাশাপাশি, শিশুর সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২শ’ জন শিশু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী এবং পুষ্টিবিদ এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গত বছর এ অনুষ্ঠানটি ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশে এ সম্মাননা প্রকল্প শতভাগ সফলতা লাভ করেছে।এএ/বিএ
Advertisement