আসন্ন ঈদুল আজহায় ফের শতভাগ উৎসব ভাতা হতে বঞ্চিত করা হলে প্রতিবাদস্বরূপ প্রতীকী মোরগ কোরবানির ঘোষণা দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৩ সংগঠনের জোট শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি। ঈদের তৃতীয় দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করবে।
Advertisement
শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন এবং শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের (বামাশিকফো) সভাপতি উপাধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৪ সাল হতে ১৭ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে আসছেন। এমপিওভুক্ত এন্ট্রি লেভেলের একজন মাধ্যমিক শিক্ষক ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা হিসেবে মাত্র তিন হাজার ১২৫ টাকা পান। মাদরাসার ইবতেদায়ি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা আরও কম। এই সামান্য উৎসব ভাতা দিয়ে কোনো অবস্থায়ই উৎসব পালন করা সম্ভব নয়।
শতভাগ উৎসব ভাতা হতে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পরিবারের সঙ্গে ঈদ না করে গত ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদায় করে মানববন্ধন করেছে। ২৬ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, প্রায় অর্ধশতাধিক এমপি-মন্ত্রীকে শতভাগ উৎসব ভাতার বিষয়টি সংসদে উত্থাপনের জন্য স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরসহ ছয়জন এমপি বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেছেন এবং আসন্ন ঈদুল আযহা থেকেই শিক্ষকদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এআরএ/জেআইএম
Advertisement