জাতীয়

মালয়েশিয়ায় বাঙালিদের বর-কনে উৎসব

মালয়েশিয়ায় কেলাব স্ত্রীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এক আনন্দ উৎসব। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে সমবেত কণ্ঠে প্রথমে মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত ও পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেলাব স্ত্রীর উদ্যোক্তা সূচি, ইঞ্জিনিয়ার বদলুর রহমান খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দাতু কালাম প্রমুখ।শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্র্যান্ড কন্টিনেন্টালের বল রুমে বাংলাদেশি বররা বাহারি রঙের পাঞ্জাবি-পাজামা আর মালয়েশীয় স্ত্রীরা সালোয়ার-কামিজ আর শাড়িতে বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছিলেন। আবহমান বাংলার কৃষ্টি বিদেশি বধূরা ফুটিয়ে তুলেছে তা অকল্পনীয়। সত্যিই মালয় মেয়েরা বাংলার বরদের পেয়ে তারা খুবই খুশি। তা এই আনন্দ উৎসবে ফুটে উঠেছে।মালয়েশিয়ায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ বাংলাদেশির বাস। এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মালয়েশীয়দের কাছে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তিও। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কাজের জন্য বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়া সরকারের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আর প্রশংসার পেছনে রয়েছে মিষ্টি বউদের সহযোগিতা। জাতিতে মালয় হলেও তারা বাঙালি বধূ। আর এই মিষ্টি বউরা মিলে মালয়েশিয়ায় কেলাব স্ত্রী বা কেআইবি নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। বাংলায় যাকে বলা যায় ‘মিষ্টি বউ’দের সংগঠন।উৎসবে মালয়েশীয় নারীদের ‘আয়রন লেডি’ ঘোষণা করা হয়। ২৬ জন লেডির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীন ও লেবার উইং শাহিদা সুলতানা। যাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয় তারা হলেন আরিনা ওয়াটি মালিকি, হামিদা বিনতে আরশাদ, নাসিরা বিনতে নামসি, শাকিলা বিনতে মুনিফ, আগুস্তিন বিনতে সাফিন, নরহাসানা বিনতে আহমাদ রিফাই, সিতি রহমাহ বিনতে সালেহ, নূর ফারাহ হিদায়া জুলফা, ওয়ান হালিমাহ বিনতে ওয়ান ইসহাক, আনিতা আয়ু বিনতে মাট আরিফিন, মারিয়ানা বিনতে মুহাম, জারিমাহ, লিজা বিনতে হুলদি, আজলিয়ানি বিনতে মোহাম্মদ, নূর সাকিনা বিনতে আবদুল রাশিদ, সুসি, নূর আজলিজা বিনতে মাসলিম, ইদা উস্মিতা বিনতে মালেক, সালবিয়ানা বিনতে ওসমান, সিতি নূর শরিফা সাফুরা, নূর ফাজিলা বিনতে মুসা, রোসেমিনা আলবানি, শায়লা বিনতে সাদিক, নূরায়হা বিনতে আব্দুল আজিজ, সুজার ওয়াতানি, জুলিয়ানা বিনতে মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদান শেষে এস কে শাহীন ও শাহিদা সুলতানা সুন্দর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য কেলাব স্ত্রীর আয়োজকদের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। আনন্দ উৎসবে ফ্যাশন শোর মাধ্যমে শিশুরা নাচে-গানে উপস্থিত দর্শককে মুগ্ধ করে তোলে।অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শাষা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের স্বামীরা বাংলাদেশি। আমরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি, যাতে করে বছরে একবার স্বামী-স্ত্রী এবং বাচ্ছাদের নিয়ে অন্তত একসঙ্গে আনন্দ করতে পারি এবং সুখে-দুঃখে আমরা যাতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি।’শাসা আরও বলেন, আমাদের দেশে বাংলাদেশি ছেলেরা বিভিন্ন কলেজ ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করছে তাদেরকেও পছন্দ করে আমাদের মেয়েরা। এর কারণ জানতে চাইলে শাসা বলেন, বাংলাদেশি ছেলেরা স্ত্রীদের প্রতি আন্তরিক।বিএ

Advertisement