প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রেকর্ড ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম রোগীর মৃত্যুর পর একদিনে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু।
Advertisement
করোনায় দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডের দিন খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৫১ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়।
খুলনা ও ঢাকার পরই মৃত্যুর হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগ। এ দুই বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন করে মারা গেছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, ময়মনসিংহে ৯, বরিশালে তিন ও সিলেটে দুজন মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ এবং নারী ৫৭ জন। তাদের মধ্যে ৯ জন বাসায় ও তিনজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত ১৫৩ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন।
Advertisement
রোববার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জনে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৬১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৬০৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৯ হাজার ৮৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০টি।
একদিনে নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
Advertisement
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৮ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এমইউ/এএএইচ/জেআইএম