দেশজুড়ে

রোগী-স্বজনদের দুর্ভোগে খুলল বরিশাল মেডিকেলের সামনের ৯ হোটেল

রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ৯টি খাবার হোটেল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নগরীর অন্য সব খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে।

Advertisement

রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

এর পরপরই মেডিকেলের সামনের ৯টি খাবার হোটেল মালিককে সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোতোয়ালি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত শুক্রবার (২ জুলাই) জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির যৌথসভায় নগরীতে খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর শনিবার সকাল থেকে মেডিকেলের সামনের ৯টিসহ নগরীর সব খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন সহস্রাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা।

Advertisement

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা পর রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে মেডিকেলের সামনের খাবার হোটেলগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নগরীর অন্য সব খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।

মেডিকেলের সামনে বান্দ রোডের ‘নন্দীনি’ হোটেলের মালিক পবিত্র দেবনাথ বলেন, করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মতে আমরা হোটেল বন্ধ রাখি। এতে মেডিকেলে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েন। খাদ্যের জন্য এক ধরনের হাহাকার তৈরি হয়। মানুষের দুর্ভোগ দেখে আমরা ৯ হোটেল মালিক মিলে শনিবার ছয় মণ চাল-ডালের খিচুড়ি রান্না করে বিনামূল্যে বিতরণ করি। রোববারও এক হাজার প্যাকেট খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।

মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন দেড় সহস্রাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। প্রতি রোগীর সঙ্গে গড়ে দু-তিনজন করে  স্বজন থাকেন। সে হিসেবে প্রতিদিন হাসপাতালে রোগী ও স্বজন থাকেন পাঁচ হাজারের বেশি।

সাইফ আমীন/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement