বরিশালের গৌরনদী পৌর নির্বাচনে ২নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী এবং বাবা-ছেলে। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ড থেকে একই বাড়ির পাঁচজন সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। ওই পাঁচ প্রার্থী একে অপরের স্বজন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আর এ নিয়ে ওই এলাকার ভোটারদের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকার বাসিন্দারা জানান, গৌরনদী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে টরকীর চর এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচএম মোশারফ হোসেন ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া লাভলী প্রার্থী হয়েছেন। একই ওয়ার্ডের বড় কসবা এলাকার খান বাড়ির প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে বাবা-ছেলেসহ ৫ প্রার্থীই একে অপরের স্বজন। ওই ৫ প্রার্থী হচ্ছেন, এস্কেন্দার আলী খান ও তার ছেলে মামুন খান, একই বংশ বাড়ির এস্কেন্দার খানের ভাতিজা বর্তমান পৌর কাউন্সিলর কেএম আহসান ইমাম ওরফে খায়রুল খান, মামুনের চাচাতো ভাই মাসুদ খান, সাবেক কাউন্সিলর হাকিম খান।স্বজনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও রেষারেষি থেকেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, বর্তমান কাউন্সিলর কে.এম আহসান ইমাম ওরফে খায়রুল খানের সঙ্গে চাচা এস্কেন্দারের পারিবারিক ভাবে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। অন্যদের সঙ্গেও একে অপরের সম্পর্ক ভাল নয়। পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মামুন খান বলেন, খান বংশের দ্বন্দ্বে কারণে যে যেভাবে পারছে প্রার্থী হয়েছে। তার বাবাও প্রার্থী হয়েছেন। তবে চেষ্টা চলছে ১৩ ডিসেম্বরের আগে প্রত্যাহার করানোর।এ ব্যপারে পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কেএম আহসান ইমাম ওরফে খায়রুল খান বলেন, তারা একই বংশের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কিছুটা দ্বন্দ্ব হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত দুই/একজন ছাড়া সকলেই প্রত্যাহার করে নিবেন বলে তিনি আশা করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থী এইচ এম মোশারফ হোসেন জানান, তবে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে একজনই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement