করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফনে অনেক সময় স্বজন ও প্রতিবেশীদের মাঝে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। বিষয়টি অনুধাবন করে গত বছর থেকে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন বা সৎকার করে আসছে ‘টিম খোরশেদ’।
Advertisement
এই মহৎ কাজের উদ্যোক্তা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সহযোগীদের নিয়ে তার গড়া ‘টিম খোরশেদ’ সারাদেশে প্রশংসিত হয়। খোরশেদ পান ‘করোনা বীর’ উপাধি।
এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে একপর্যায়ে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন কাউন্সিলর খোরশেদ। সুস্থ হয়ে আবারও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মরদেহ দাফন ও সৎকারের কাজে নেমেছেন খোরশেদ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (৩ জুলাই) ভোরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৭৫) স্থানীয় একটি হাসপাতালে মারা যান। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তার পরিবারের সদস্যরা লাশ দাফন করতে ভয় পাচ্ছিলেন। পরে তারা ‘টিম খোরশেদ’কে লাশ বিষয়টি জানান।
Advertisement
খবর পেয়ে কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার টিম শনিবার দুপুরে মৃত ব্যক্তির গোসল ও জানাজার কাজ করেন। পরে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ সময় কাউন্সিলর খোরশেদ ও তার টিমের হাফেজ মো. শিব্বির, হাফেজ মো. রিয়াদ, আনোয়ার হোসেন, মো. শহীদ, সুমন দেওয়ান, শফিউল্লাহ রনি ও মো. নাঈম উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে মোট ২০৭ জন করোনা আক্রান্ত মানুষের মরদেহ দাফন ও সৎকার করল টিম খোরশেদ। এর মধ্যে শুধু সিদ্ধিরগঞ্জে ১৩ টি মরদেহ দাফন করেছেন তারা।
এস কে শাওন/এসএস
Advertisement