বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেলো চিটাগাং ভাইকিংস। অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতে ফেভারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছিল দলটি। দেশি-বিদেশি দুর্দান্ত কিছু তারকা খেলোয়াড় নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দলই গঠন করেছিল তারা। অথচ, তা স্বত্বেও সিলেট ছাড়া আর কোন দলের বিপক্ষেই জিততে পারলো না চট্টগ্রামের দলটি। সবার আগে বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই চরম হতাশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে হতাশা প্রকাশ করে তামিম বলেন, ‘যে দিন আমি আর দিলশান ভালো করি, সেদিনই দল ভালো খেলে। যে দুটো ম্যাচ জিতেছি, আমরা ভালো করেছি। এছাড়া আর কারও কাছ থেকে কোনো কিছু দেখিনি। ওরকম কোনো জুটিও দেখিনি, টুর্নামেন্টজুড়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সও কিছু ছিল না। এটা খুবই হতাশার। মনে হয় না, আমি আর দিলশান ছাড়া দলে কেউ সব মিলিয়ে একশ রানও করেছে। দুজনের ওপর নির্ভর করে দল চলে না। এটা দলীয় খেলা। সবাইকে পারফর্ম করতে হয়, বিশেষ করে স্থানীয়দের।’তবে ফলাফল যাই হোক নিজের দলকে কোন অংশেই খাটো করে দেখছেন না তামিম। যদিও বড় বড় তারকা খেলোয়াড় থাকারও পর স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফর্ম করতে না পারার কারণে তারা সাফল্য পাননি বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার যারা ছিল, ওরা চেষ্টা করেছে অবশ্যই; কিন্তু পারেনি। আপনি যতোই ক্রিস গেইল, পোলার্ড বা আন্দ্রে রাসেল- বিদেশি যাকেই আনে না কেন, স্থানীয়রা পারফর্ম না করলে ওই দলের সম্ভাবনা কমে যায়। আমাদের স্থানীয়রা প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারেনি।’ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে তামিম যতটুকু প্রত্যাশা করেছিলেন তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ কারণে প্রতিদান কিছু দিতে না পারায় হতাশার পরিমাণটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে তার। এই নিয়ে মালিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি আগামীতে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তামিম ইকবাল।আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement