চলমান লকডাউনে প্রভাব পড়েছে বুড়িগঙ্গায়। ফাঁকা রয়েছে আধমরা বুড়িগঙ্গার বুক। লকডাউনের কারণে ঘাটগুলোতে নেই মানুষের হইচই, মাঝিদের হৈহল্লোড়। নিস্তব্ধ ঘাটগুলোতে অলস সময় কাটাচ্ছেন সদরঘাটের এপার-ওপারের নৌকার মাঝিরা।
Advertisement
তারা প্রহর গুণছেন যাত্রীদের। যাত্রী না পাওয়ায় দুঃসময় কাটছে তাদের।
চলমান লকডাউনের তৃতীয় দিনে বুড়িগঙ্গার লালকুঠি ঘাট, ফরাশগঞ্জ ঘাট, বাদামতলী ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় হাতেগোনা যে কজন যাত্রী আসে, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারাপার হতে দেখা যায়।
মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এপার-ওপার হতে একটি নৌকায় ছয়জন যাত্রী নেয়া হতো, জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৫ টাকা। রিজার্ভ গেলে ২০ টাকা করে নেয়া হতো। লকডাউনে নতুন নির্দেশনায় যাত্রী পারাপারে এখন একটি নৌকায় সর্বোচ্চ তিনজন যাত্রী নেয়া হচ্ছে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ১০ টাকা করে। একা গেলে নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা।
Advertisement
লালকুঠি ঘাটের বিপরীত পাশে তেল ঘাটে কয়েকজন মাঝির সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা জানান, গত দুদিন থেকে যাত্রী পাই না। আমাদের নিয়মিত যাত্রী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদের দেখা নেই। আগে একটা নৌকা তিন-চার মিনিট অপেক্ষা করেই যাত্রী নিয়ে পৌঁছে দিতাম। এখন আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেও যাত্রী পাই না।
তারা আরও জানান, দুপারেই একই অবস্থা। দুই জায়গায়ই যাত্রীর জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আগে মানুষ ঘুরতে আসতো, এখন তাও আসে না। আমাদের দেখার কেউ নাই।
এ সময় সংশ্লিষ্টদের কাছে ত্রাণের দাবি জানান তারা।
গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের ফলে এমন প্রভাব পড়েছে বুড়িগঙ্গার নিম্ন আয়ের মাঝিদের ওপর। বৈঠা হাতে অবিরাম ছুটে চলা মাঝিরা এখন সময় গুণছেন, কবে শেষ হবে লকডাউন।
Advertisement
রায়হান/এমএইচআর/এমকেএইচ