জাতীয়

কারওয়ান বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন দোকানিরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার (৩ জুলাই) তৃতীয়দিনের মতো কঠোর বিধিনষেধ চলছে। তবে গত দুইদিনের তুলনায় আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। ক্রেতারা মাস্ক পরলেও দোকানিরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসীন।

Advertisement

ক্রেতাদের অভিযোগ, কারওয়ান বাজারের অধিকাংশ দোকানি মাস্ক ব্যবহার করেন না। টাকা লেনদেনের পর স্যানিটাইজারও ব্যবহার করে না তারা। এতে করোনা সংক্রমণ খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া প্রতিটি দোকানের সামনেই মানুষ গা ঘেঁষে দাঁড়ান। বাজারে তেমন কোনো শৃঙ্খলা নেই।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারের পেট্রো বাংলার সামনে থেকে তেজতুরী বাজার পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশ, কিচেন মার্কেট, কারওয়ান বাজার আড়তসহ বিভিন্ন গলিতেও শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংসের দোকান বসছে। প্রায় প্রতিটি দোকানেই কম-বেশি বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতারা মাস্ক ব্যবহার করলেও অধিকাংশ দোকানি মাস্ক পরেননি। এ ছাড়া দোকানের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার কোনো নির্দেশনা ছিল না। ফলে অনেক দোকানেই গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করেছেন ক্রেতারা।

তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়া থেকে কারওয়ান বাজারে শাক-সবজি কিনতে এসেছেন লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হলেও দোকানিদের মধ্যে তা দেখা যায়নি। এ ছাড়া দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটারও কোনো নির্দেশনা নেই।’

Advertisement

তবে ভিন্ন কথা বলেন সবজি দোকানি সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বিধিনিষেধের কারণে বাজারে ক্রেতা কম। বেচাকেনা নাই বললেই চলে। এমন অবস্থায় মাস্ক ব্যবহার না করলেও চলে। আর মাস্ক ব্যবহার করলেও কাজ করতে কষ্ট হয়।’

কারওয়ান বাজার এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বলেন, ‘কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কারওয়ান বাজারেও এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারপরও আবার এই বাজারে অভিযান চালানো হবে।’

এমএমএ/ইএ/জিকেএস

Advertisement