ঢাকার ধামরাইয়ে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এক বিধবা নারী (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে ওই নারীর নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
Advertisement
নিহতের তিন সন্তান রয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে আশরাফুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ইমাম তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই নারীর স্বামী দুই বছর আগে মারা যান। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে। পরে একই গ্রামের মসজিদের ইমাম মো. আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে কিছুদিন ধরেই আশরাফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন ওই নারী।
গত বুধবার দুপুরে ওই নারী মসজিদের ভেতরে গিয়ে এলাকার মুসল্লিদের উপস্থিতিতে তাকে বিয়ে করার জন্য ইমামকে চাপ দিলে সবার সামনে তাকে মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেন আশরাফুল। পরে ভুক্তভোগী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের কাছে বিষয়টি জানান। তিনি তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।
Advertisement
স্থানীয় সেলিম হোসেন বলেন, মসজিদের ইমাম আশরাফুল বিয়ে করার কথা বলে ওই নারীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে আসছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কয়েক দিন আগে গ্রাম্য মাতব্বররা এ ঘটনার বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে কোনো বিচার না করে ইমামকে নিজেদের জিম্মায় রেখে দেন। এক পর্যায়ে ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন তারা। এ খবর শোনার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই নারী তার ঘরের দরজা লাগিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দফাদার রহিম মিয়া বলেন, মাতব্বররা যদি সঠিক বিচার করতেন তাহলে ওই নারী আত্মহত্যা করতেন না। মাতব্বররা ইমামকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, ওই নারীর মৃত্যুর কারণ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে ইমাম আশরাফুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আল-মামুন/এসআর/জেআইএম
Advertisement