রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল (২০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুর সোয়া ২টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে।
এর আগে আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নুরুন্নবী (৩০) নামে একজন মারা যান।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাসেল নামে একজন দুপুর সোয়া ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
Advertisement
রাসেলের চাচা বজলুর রহমান জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের একটি সরকারি কলেজে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন রাসেল। তার বাবা জসীমউদ্দীন পেশায় কৃষক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি বড়।
তিনি জানান, রাসেলের কলেজ বন্ধ থাকায় নিজে উপার্জনের আশায় ছয় মাস আগে ঢাকায় আসে। বিস্ফোরণের পাঁচ দিন আগে বেঙ্গল মিটে চাকরি নেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিস্ফোরণে মূল সড়কের পাশে তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে গেছে। দুমড়ে-মুচড়ে গেছে রাস্তায় থাকা তিনটি বাস।
Advertisement
ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, বিস্ফোরক পরিদফতর, পুলিশ সদর দফতর ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদা কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা সোমবার (২৮ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিএ/এএসএম