ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় আবারও লকডাউন জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বালি দ্বীপেও পুনরায় লকডাউন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় ওই দুই দ্বীপে নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়। দেশজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এক ঘোষণায় লকডাউন জারি করেন। খবর বিবিসির।
Advertisement
গত কয়েক মাসে ইন্দোনেশিয়ায় কয়েক লাখ কোভিড কেস শনাক্ত হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যাওয়া এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
আগামী দুই সপ্তাহ লকডাউন জারি থাকবে এবং এর ফলে প্রতিদিন নতুন সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে নামানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় অনাবশ্যক ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত কর্মীরা বাড়িতে বসেই কাজ করবেন। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান চালিয়ে যেতে হবে। শপিংমল, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, পার্ক বন্ধ থাকবে। তবে কোনও খাবারের দোকানে বসে খাবার গ্রহন করা যাবে না।
Advertisement
স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত কার্যক্রম শতভাগ চালু থাকবে। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। এর মধ্যে মারা গেছে ৫৭ হাজার মানুষ।
ইন্দোনেশিয়ার রেড ক্রসের মহাসচিব সুদিরমান বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। অক্সিজেন সরবরাহও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
গত মাসে কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মে মাসের শেষের দিকে জাভা দ্বীপের কুদুস এলাকায় প্রথম এই অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
Advertisement
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও চলতি মাসে সাড়ে তিনশ'র বেশি স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৯৪৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
টিটিএন/এএসএম