আইন-আদালত

শিশু হত্যা : বিচারিক আদালতের দণ্ড হাইকোর্টে বহাল

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর শিশু অনামিকা ঘোষ (৯) হত্যা মামলায় নিম্ন (বিচারিক) আদালতের দেয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চার জনের যাবজ্জীবনের দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে নিম্ন আদালতের দেয়া দণ্ড বহাল রইলো। ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।  দণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মানিককে মৃত্যুদণ্ড এবং জনি ঘোষ, আনোয়ার হোসেন,আলাউদ্দিন ও নুর ইসলাম মুন্সিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন আদালত।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন,অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, মুনসুরুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।এর আগে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪) একজনের ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।জানা যায়, পশ্চিম বামনসুর এলাকার স্পেসিফিক কিন্ডারগার্টেন থেকে ফেরার পথে ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের সুধারাম ঘোষের ৯ বছরের মেয়ে অনামিকা ঘোষকে  অপহরণ করা হয়। একইদিনে অপরণের অভিযোগে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন অনামিকার বাবা সুধারাম ঘোষ। ২৫ এপ্রিল চার্জশিট দেয় থানা পুলিশ।অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।পরিবারের পক্ষ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়।পরে একই বছরের ১ মার্চ মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার পাটুরিয়া ঘাট ধুতরা গ্রাম থেকে অনামিকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement