অর্থনীতি

নেই মতিঝিলের কোলাহল

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বিমার অধিকাংশের প্রধান কার্যালয় মতিঝিলে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বহু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। মাত্র একদিন আগেও সকাল থেকেই জনারণ্য হয়ে যেত দেশের ব্যাংক পাড়াখ্যাত মতিঝিল এলাকা।

Advertisement

সাম্প্রতিক সব বিধিনিষেধেই ব্যক্তিগত মোটরযানের চাপে শাপলা চত্বর এলাকায় যানজট লেগে যেত। সেই চিরচেনা মতিঝিল এখন জনশূন্য। জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। করোনাভাইরাসের কারণে সরকারঘোষিত সর্বাত্মক বিধিনিষেধের কারণে এ ভুতুড়ে অবস্থা তৈরি হয়েছে রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রটির। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এদিন রাস্তার দু’পাশে নেই কোনো টংয়ের দোকান। ব্যস্ততা নেই চা-বিড়ি দোকানির। হাক-ডাক নেই রিকশার। অবাধ চলাচল নেই মানুষের। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জুন ক্লোজিংয়ের কারণে আগেই অফিসে চলে গেছেন। তাদের সংখ্যাও হাতেগোনা। কারণ, ওইসব অফিসে সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়েই চলছে, ‘জুন ক্লোজিংয়ের কাজ।’

সকাল ১০টার পর কয়েকটি ফলের দোকান মতিঝিল এলাকায় বসতে চাইলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেগুলো উঠিয়ে দেয়। বিভিন্ন অফিসের পাশে গড়ে ওঠা সব ধরনের দোকানপাটও বন্ধ। প্রয়োজন না হলে কেউই বাসা থেকে বের হচ্ছেন না।

Advertisement

সোনালী ব্যাংকের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে স্যাররা অনেক আগেই অফিসে এসেছেন। তবে লেনদেন না হওয়ার কারণে গ্রাহক নেই। সবাই নিজেকে নিরাপদে রাখতে চাইছে। তাই বেরও হচ্ছেন না অনেকে।

আবার প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাস্তায় বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে।

শাপলা চত্বর এলাকায় দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট এনাম বলেন, ‘আমরা প্রতিটি মোটরযান থামিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছি। তারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে ছাড়ছি, না হলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার রিকশায় মাস্ক ছাড়া চলাচলও দেখছি। মাস্ক ছাড়া আমরা কাউকে অ্যালাও করবো না, সেটা রিকশাচালক বা যাত্রী যেই হোক না কেন।’

ইএআর/এসএইচএস/এএসএম

Advertisement