দেশজুড়ে

কুষ্টিয়া হাসপাতালে একদিনে করোনায় আরও ৮ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৯ জনে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৭১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালে কর্তব্যরতদের।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়িয়েছে। মানেনি সামাজিক দূরত্ব, পরেনি মাস্ক। ফলে জেলায় এখন করোনার কমিউনিটি ট্রানজেকশন দেখা দিয়েছে। এছাড়া মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সহায়তা নিচ্ছে না। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে যাচ্ছে। এতে বাড়ছে রোগী মৃত্যুর ঘটনা। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৮-১০ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।’

Advertisement

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, ‘হাসপাতালে আপাতত অক্সিজেনের কোনো সঙ্কট নেই। আর এখন থেকে প্রতিদিন ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার কুষ্টিয়া থেকেই রিফিল করা সম্ভব হবে। বাকি সিলিন্ডারগুলো আগের মতো প্রতিদিন যশোর থেকেই রিফিল করে আনা হবে।

এছাড়া কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ।’

আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্বাধিক ১১৩ জন, দৌলতপুরে ৪৯ জন, কুমারখালীতে ৫৪ জন, ভেড়ামারায় ৫২ জন, মিরপুরে ৩৩ জন ও খোকসায় ২৩ জন রয়েছেন।

এদিকে এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫০ জনে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৫৩৫ জন। আর জেলায় করোনায় মোট মারা গেছেন ২১১ জন।

Advertisement

আর বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩০৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে ২০৪ জন ও হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ১০০ জন।

আল-মামুন সাগর/এসএমএম/এমকেএইচ