রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। বুধবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
Advertisement
বিবৃতিতে বিআইপি জানায়, এই দুর্ঘটনার পেছনে সেবা সংস্থাসমূহের নজরদারির অভাব, ভবনে অনাবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভবন মালিক ও ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদাসীনতা, বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণের গাফিলতির দায় আছে। ঢাকা শহরের মত জনবহুল ও অতি ঘন শহরের পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন ব্যবস্থাপনায় যে ধরনের মানদণ্ড অনুসরণ করতে হয়, তার অনুপস্থিতি বহুলাংশে দায়ী। একটি শহরকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে যে রকম প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন তা এখানে নেই। তাই ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য বিআইপি কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরছে।
সেগুলো হলো- ভবন সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থা নিয়মিত প্রতিটি ভবন ও স্থাপনায় স্ব-স্ব পরিসেবা লাইন ও সংযোগসহ আনুষঙ্গিক পরিদর্শনপূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইমারতের পরিসেবা, অগ্নি নিরাপত্তা ও বসবাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারিগরি ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট সংস্থা ও পেশাজীবীদের দ্বারা নিবন্ধনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদান ও তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, ভবন ও স্থাপনার মালিক এবং তত্ত্বাবধানকারী অগ্নি নিরাপত্তা ও বসবাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মিত জমা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নগর এলাকায় যে সকল অনুমোদনহীন ও বিপজ্জনক ব্যবহার বর্তমানে বিদ্যমান আছে, সেগুলো অপসারণপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বহুতল ভবনে কিংবা আবাসিক এলাকায় বিপজ্জনক মিশ্র ব্যবহার অতি দ্রুত বন্ধ করা এবং অনুমোদিত মিশ্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি করা।
Advertisement
গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি প্রভৃতি সেবার জন্য নিম্নমানের যন্ত্র, পাইপ, উপকরণ উৎপাদন ও ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। গ্যাস সিলিন্ডার, কমপ্রেসর ব্যবহারের জন্য কঠোর নীতিমালা তৈরি করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স মনে করে, নগরের বসবাস নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগর সংস্থা, নাগরিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
এমএমএ/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement