ইরাক ও সিরিয়া থেকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যে জ্বালানি তেল উত্তোলন করে তার অধিকাংশই তুরস্কের ভিতর দিয়ে পাচার হয় বলে অভিযোগ করেছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। সোমবার জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমেইয়ারের সঙ্গে এক বৈঠকে এ অভিযোগ করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের তেল চোরাচালান বন্ধের উপর গুরুত্বারোপ করেন যে তেলের অধিকাংশই তুরস্কের ভিতর দিয়ে পাচার হয়।এদিকে, সিরিয়া ও ইরাকের আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পাচার হওয়া তেলের চোরাচালানের সঙ্গে তুরস্কের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করে আসছে আঙ্কারা। তুরস্ক বলছে, কয়েক দশক ধরে নিজেদের সীমান্তে জ্বালানির চোরাচালান বন্ধে চেষ্টা করা হচ্ছে।এর আগে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলের কাছে মোতায়েন তুর্কি বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে জাতিসংঘে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেয় ইরাক। বাগদাদ বলছে, কোনো আলোচনা ছাড়া ইরাকে সেনা মোতায়েনের এ ধরনের পদক্ষেপ জাতীয় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে তুরস্কের বিরুদ্ধে আইএসের তেল চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলল ইরাক। আবাদির অভিযোগের আগে সম্প্রতি একই ধরনের অভিযোগ করেছিল রাশিয়া। আইএসের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে চোরাচালানকৃত তেলের একটা অংশ তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তার পরিবার নিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে মস্কো। অভিযোগ অস্বীকার করে এরদোয়ান বলেন, এটি প্রমাণ করতে পারলে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। তুরস্ক সীমান্তের কাছে রুশ যুদ্ধবিমানে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করার পর আঙ্কারার বিরুদ্ধে আইএসের চোরাচালানকৃত তেলের সুবিধা ভোগের অভিযোগ তুলে মস্কো। এরপরই তুরস্কের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলল ইরাক। এসআইএস/পিআর
Advertisement