করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যে মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনার জন্য বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (৩০ জুন) এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’র ১০(৫) ধারা অনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর ৫ ধারা মোতাবেক বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আওতাধীন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে আদেশে।
Advertisement
এর আগে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ এবং টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।
Advertisement
আরএমএম/এইচএ/এএসএম