ধর্ম

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার পাকিস্তানের সভাপতি জামিয়া উলুমিল ইসলামিয়ার মুহতামিম মাওলানা ডা. আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Advertisement

দ্বিতীয়বারের মতো পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পাকিস্তান বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ১৩ দিন পর তিনি ইন্তেকাল করলেন।

গত ১৭ জুন বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে দারুল উলুম জাকারিয়ায় দেশটির সাবেক বিচারপতি আল্লামা মুফতি তকি উসমানির সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটিতে মাওলানা ডা. আবদুল রাজ্জাক ইস্কান্দারকে পাকিস্তান বেফাকের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।

১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান। বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামী শিক্ষা বোর্ডসমূহের অন্যতম এ বোর্ড। এ বোর্ডের অধীনে পাকিস্তানের ১০ হাজারেরও বেশি মাদরাসা এবং প্রায় ৮ হাজার ইকরা স্কুল রয়েছে।

Advertisement

দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারায় পরিচালিত এ বোর্ড সব মাদরাসাকে দীর্ঘ দিনব্যাপী নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। হানাফি মাজহাবের অন্যতম আলেম ও স্কলার মাওলানা ড. আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দ বোর্ডটির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ ৬ বছর।

মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ইস্কান্দার, ১৯৩৩ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি জেলা অ্যাবটাবাদের কোকালের একটি ধর্মপ্রাণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মাদরাসা দারুল উলুম ছোহর শরীফ, হরিপুর ও সিকান্দারপুরের মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।

তিনি দারুল উলুম করাচি অধ্যয়ন করেন। ১৯৫৬ সালে জামিয়া উলুম-উল-ইসলামিয়া থেকে দরস-ই-নিজামিতে স্নাতক লাভ করেন।তিনি জামিয়া উলুম-উল-ইসলামিয়া- এর প্রথম ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি ১৯৬২ সালে মদিনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। চার বছর ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন।তিনি ১৯৭২ সালে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি মুহাম্মদ ইউসুফ লুধিয়ানভির অন্যতম ছাত্র ছিলেন।

কর্মজীবনমাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ১৯৫৫ সালে জামিয়া উলুম-উল-ইসলামিয়াতে শাইখুল হাদিস ও মুহতামিমের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।

Advertisement

১৯৯৭ সালে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে বেফাক বোর্ডের সহকারি মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন।পরে তিনি আল্লামা সলিমুল্লাহ খানের মৃত্যুর পরে নয় মাসের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ৫ অক্টোবর ২০১৭-এ বেফাক বোর্ডের (প্রথম বার) সভাপতি নিযুক্ত হন।

মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার বহু গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে তাবলীগী জামায়াত ও এর দাওয়াতের নীতি ও পদ্ধতি আত-তারিকাতুল আসরিয়া উল্লেখযোগ্য।

আল্লাহ তাআলা ইলমে দ্বীনের এ খাদেমকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম