দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত উপাচার্য হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়নি সরকার। ফলে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাওয়া নিয়োগপ্রাপ্তদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় হিমসিম খাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য পদে রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার উপ-উপাচার্য পদের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ১৫ জুলাই। একারণে এক সঙ্গে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
এই আলোচনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট হয়ে আসছে উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে সোমবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায়ও বেশ আলোচনার বিষয় ছিল উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালযের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে দুইটি নাম প্রচার শুরু হয়। তারা একে অন্যকে ফোন করে জানাতে থাকেন, উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রকিব আহমেদ।
Advertisement
একই সঙ্গে উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে। আগামী ১৭ জুলাই তারা দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, তিনিও তথ্যটি তার সহকর্মীদের কাছে জেনেছেন। পরে অবশ্য সত্যতা নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন জেগেছে।
তবে শিক্ষকরা বলছেন, উপ-উপাচার্য পদে অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার মেয়াদ ১৫ জুলাই শেষ হলে এক সঙ্গে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য সর্বোচ্চ এই দুই পদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে।
উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার আলোচনায় ছিলেন গুঞ্জন আছে বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইয়েদুজ্জামান মিলন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুন্নবী সামাদী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম প্রমুখ।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের শেষ কার্যদিবস ছিলো।
সালমান শাকিল/আরএইচ/জেআইএম