দেশজুড়ে

২০০ টাকার ভাড়া ৯০০!

‘কুমিল্লা বিশ্বরোড যামু। দুই ঘণ্টা ধইরা দাঁড়ায় রইছি। ২০০ টাকার ভাড়া পিকআপে ৯০০ টাকা চায়। এত ভাড়া অইলে বাড়িত যামু ক্যামনে’

Advertisement

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইল মোড়ে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন লতিফা বেগম নামে এক যাত্রী। করোনা রোধে কঠোর বিধিনিষেধের সংবাদে তার মতো অসংখ্য যাত্রী বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।

বুধবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় এমন চিত্র দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও পিকআপ চলছে। তবে বিগত কয়েকদিনের তুলনায় গাড়ি চলাচলের সংখ্যা কম রয়েছে। তবে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। ফলে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।

আব্দুর রব নামে এক যাত্রী চট্টগ্রাম যাবেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এতদূর যাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ধাপে ধাপে যেতে হবে। আমি এখান (শিমরাইল) থেকে প্রথমে দাউদকান্দি যাব। পরে দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম রওনা হব। কিন্তু দাউদকান্দি যেতেমাইক্রোবাসে ৫০০ টাকা ভাড়া চায়। অথচ বাস চললে দাউদকান্দি যেতে ৭০-৮০ টাকা ভাড়া লাগে। বাস বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাস চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।’

Advertisement

বিল্লাল হোসেন নামে আরেক যাত্রী যাবেন কুমিল্লার গৌরীপুর। তিনি বলেন, ‘শনির আখড়া থেকে হেঁটে শিমরাইল এসেছি। কয়েকজন সিএনজি চালককে জিজ্ঞেস করলাম। ৪০০ টাকার নিচে কেউ গৌরীপুর যেতে রাজি হয় না। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। দেখি আরেকটু কম টাকায় যাওয়া যায় কিনা।’

নাঈমুর রহমান নামে এক যাত্রী মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যাবেন। সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে ৬০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে শিমরাইল এসেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো রাস্তাজুড়ে ভাড়া বেশি লাগছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদেরকে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।’

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কে গাড়ির চাপ কম রয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ তৎপর রয়েছে। যেসব মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার আটক করছি, সেগুলোকে মামলার আওতায় আনা হচ্ছে।’

এস কে শাওন/এসজে/এমকেএইচ

Advertisement