আন্তর্জাতিক

কিম জং উনের দেশেও কি করোনার হানা?

এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী তাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ঘাতক করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৩৯ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। আক্রান্ত হয়েছেন সোয়া ১৮ কোটি মানুষ। তবে এতকিছুর পরও উত্তর কোরিয়ায় করোনায় মৃত্যু বা আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি করোনা সংশ্লিষ্ট ঘটনায় কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বদলি করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এ ঘটনার জেরে ধারণা করা হচ্ছে এবার কিমের দেশেও আঘাত হেনেছে করোনা।

Advertisement

এনডিটিভি জানিয়েছে, চীন থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর গত বছরের জানুয়ারি থেকে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে কি-না তা কোনোভাবেই জানা যায়নি। তারাও জনসমুক্ষে সংক্রমণের বিষয়ে কিছু জানায়নি। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছেও কোনো তথ্য দেয়নি তারা। বরং দেশটিতে একজনও করোনায় আক্রান্ত হননি বলে এর আগে দাবি করেছেন কিম জং উন।

এ অবস্থায় সম্প্রতি দেশটিতে করোনা ইস্যুতে কয়েকজন কর্মকর্তার বদলির ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, নীতিনির্ধারণী এক বৈঠকে কিম বলেছেন, ওই কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্বে অবহলো করেছেন, যার ফলে ‘গুরুতর’ ঘটনা ঘটেছে। তারা রাষ্ট্রের সুরক্ষা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি বিরাট সংকট সৃষ্টি করেছেন। এর ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

কিম আরও বলেছেন, ‘এসব কর্মকর্তার ‘দক্ষতার অভাব এবং কর্তব্যে অবহেলা’ গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের পধে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি ওই কর্মকর্তাদের ‘আত্ম-রক্ষামূলক ও নিষ্ক্রিয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি তারা।

Advertisement

এ ঘটনা দেশটিতে করোনা সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির জীর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের অভাবে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছরের অক্টোবরে সামরিক প্যারেডে করোনামুক্ত থাকার কারণে দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেও বিশ্লেষকরা এতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে কড়াকড়ি আরোপের মূল্য দিতে হচ্ছে উত্তর কোরিয়াকে। এটি দেশটিকে বিশ্ব থেকে আরও আলাদা করে ফেলেছে। তাদের অর্থনীতির প্রাণ হলো বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য। সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার কড়াকড়ির কারণে সব আন্তর্জাতিক সহায়তা কর্মীরা উত্তর কোরিয়া থেকে চলে গেছেন।

খাদ্য সংকট মোকাবিলা করার কথা চলতি মাসে তারা স্বীকারও করেছে। মৃতপ্রায় কৃষি খাত নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে দেশটি। এর আগে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য’ দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার জন্য সতর্কও করেন কিম জং উন।

ইএ/এমএস

Advertisement