ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। যেসব শর্তে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দসহ প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছে তারা সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করেনি। এতে নগরে জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন ধরনের জনভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।’
Advertisement
মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাজধানীর মিরপুর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও রোকেয়া সরণিতে মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকা বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর ২৩৭ বস্তা উচ্ছিষ্টাংশ ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে এবং অত্যাধুনিক জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় মেট্রোরেল কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রত্যেককেই ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত সচল রেখে মেট্রোরেলের কাজ চলমান রাখার কথা। কিন্তু বিদ্যমান অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা মেট্রোরেলের কাজের কারণেই নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রাখার ব্যবস্থা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে।’
Advertisement
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ১ জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রজেক্টগুলোর অন্যতম মেট্রোরেল নগরবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে শুধু সড়কের উপরের রেলের দিকে নজর দিলেই চলবে না, নিচের রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের দিকেও নজর দিতে হবে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।’
এমএমএ/এমএইচআর/এএসএম