সব মানুষের মধ্যেই ভালো ও খারাপ দু’টো দিকই থাকে। তবে কারও মধ্যে নেতিবাচক বিষয়গুলো বেশি থাকে আবার কারও মধ্যে ইতিবাচক বিষয়গুলোর প্রকাশ পায় বেশি। তবে সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবেগী না হয়ে বরং কিছু বিষয় বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া জরুরি।
Advertisement
কিছু গুণ আছে যেগুলো দেখে তবেই মনের মতো সঙ্গী নির্বাচন করুন। তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভবিষ্যতে কাঠখড় পোড়াতে হবে না। আপনাআপনিই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে। জেনে নিন সম্পর্কে জড়ানোর আগে সঙ্গীর কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন-
১. মানসিক পরিপক্কতা
কোনো মানুষই একদম নিখুঁত হয় না। তাই নিখুঁত মানুষ না খুঁজতে গিয়ে অধৈর্য হয়ে পড়বেন না। তার চেয়ে বরং মানসিকভাবে পরিপক্ক এমন সঙ্গী খুঁজে বের করুন। যিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন। একইভাবে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে পিছপা হবেন না। এমন মানুষই উপযুক্ত সঙ্গী।
Advertisement
২. সততা
সঙ্গীর মধ্যে অবশ্যই যেন সততা থাকে, সে বিষয়টি লক্ষ্য করুন। বিশেষ করে সম্পর্কে সৎ থাকাটা খুব জরুরি। অনেকেই আছেন মিথ্যা কথা বলে একসঙ্গে অনেকগুলো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেন।
এমন প্রতারক থেকে দূরে থাকুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দম্পতিরা নিজেদের মধ্যে সৎ নয় এবং বন্ধন দুর্বল; তারা একে অপরের সঙ্গে মিথ্যা বলে। এমন মানুষের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ান অনেকেই।
৩. সংবেদনশীলতা
Advertisement
অনেকেই আছেন যারা সঙ্গীর প্রতি আক্রমনাত্মক আচরণ করেন। তাই সঙ্গী বাছইয়ের ক্ষেত্রে এমন কাউকে খুঁজবেন যিনি সংবেদনশীল। আপনার প্রয়োজন, অনুভূতি সব কিছুর প্রতিই তিনি সংবেদনশীল থাকবেন। আপনার কদর যার কাছে নেই, তার সঙ্গে পুরো জীবন কাটাতে পারবেন না কখনোই!
৪. আন্তরিকতা
সম্পর্কে আন্তরিকতা খুবই জরুরি। বিশেষ করে জড়িয়ে ধরা বা হাস্যোজ্জ্বল থাকা সম্পর্কের পথ মসৃণ করে। এতে ভালোবাসাও বাড়ে। পাশাপাশি শারীরিক আকর্ষণও সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে জরুরি। তাই এমন মানুষ খুঁজে বের করুন, যে আপনার ভালোবাসায় সবসময় মুগ্ধ হবে।
৫. সম্মান
সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে সঙ্গীকে সম্মান করার বিকল্প নেই। এমন সঙ্গী নির্বাচন করুন, যে আপনাকে মানুষ হিসেবে এবং পার্টনার হিসেবে সঠিক সম্মান ও মর্যাদা দেবেন। পাশাপাশি আপনার জীবনধারাও তিনি মেনে নেবেন স্বাচ্ছন্দে।
জেএমএস/এএসএম