দেশজুড়ে

শার্শা উপজেলা হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রটিই ঝুঁকিপূর্ণ

যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের পাশের কক্ষটিই প্যাথলজি বিভাগ। করোনা ও প্যাথলজি টেস্টের জন্য আসা রোগীরা অপেক্ষা করেন কক্ষের বাইরে। জায়গাটি সংকীর্ণ হওয়ায় তাদের গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই অপেক্ষা করতে হয়। ফলে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি হয় উপেক্ষিত।

Advertisement

রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণেই হাসপাতালটির এমন অবস্থা। সেখানে আসা যে কেউই করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন। এ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ছাড়াও জিন এক্সপার্ট মেশিনে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে।

হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য আসা শ্যামলাগাছী গ্রামের জাহানারা খাতুন বলেন, ‘করোনা টেস্ট করতে এসে দেখি মানুষের ভিড়। এর মধ্যে কীভাবে টেস্ট করাব সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।’.

নাভারনের গাতীপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লোকবল না বাড়ালে এত ভিড়ের মধ্যে টেস্ট করা সম্ভব নয়।’

Advertisement

বেনাপোলের সেলিম রেজা বলেন, ‘করোনা টেস্ট করাতে এসে হাসপাতালের অবস্থা দেখে ভয় লাগছে। মনে হচ্ছে আগে আক্রান্ত না হলেও হাসপাতালে গিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন এভাবে কাজ করছে সেটা বুঝতে পারলাম না।’

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় ভিড় হচ্ছে। বিকল্প জায়গা খুঁজে কাজ করার চেষ্টা চলছে।’

মো. জামাল হোসেন/এসএস/এএসএম

Advertisement