জাতীয়

মগবাজারে বিস্ফোরণ : ঢামেকে চিকিৎসাধীন তিনজন শঙ্কামুক্ত

রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে কামাল হোসেন (৪০) নামে একজন স্কুলশিক্ষকসহ তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

Advertisement

তাদের মধ্যে স্কুলশিক্ষক কামাল হোসেন হাসপাতালের ১০২ নম্বরে ওয়ার্ডে ভর্তি। তার এক হাত ভেঙে গেছে এবং পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে।

আহত স্কুলশিক্ষক কামালের চাচাতো ভাই আবু সাঈদ জানান, কামাল রোববার সন্ধ্যায় মগবাজার এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোবাইল সার্ভিসিংয়ের জন্য তিনি বেরিয়েছিলেন। বিস্ফোরণের সময় তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ভবনের সামনের রাস্তা পার হচ্ছিলেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে যায়।

আহত কামালের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আবু সাঈদ বলেন, ‘ভাইকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হচ্ছে। ঘুম ভাঙলেই তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভব করার কথা বলছেন। বলছেন, তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না, তাকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে নেয়া হোক।’

Advertisement

কামাল রাজধানীর শাজাহানাপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি টিউশনি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। বাবার নাম মোহাম্মদ আক্কাস আলী।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘কামাল হোসেন ১০২ নম্বরে ওয়ার্ডে আছেন। তার শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়ার পর আবার ঢামেকে আনা হয়। তার শরীর দগ্ধ হয়েছে কম। তিনি হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন।’

এদিকে, মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজন ঢামেকে ভর্তি আছেন। তারা হলেন— বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী মো. হৃদয় হোসেন (২৩) এবং দোকান কর্মচারী সুভাষ চন্দ্র সাহা (৬১)।

হৃদয়ের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি থানার রায়পাশা গ্রামে। হৃদয়ের আত্মীয় রিয়াজ জানান, হৃদয় নাবিস্কো এলাকায় তার মামার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। সেগুনবাগিচা থেকে আল-মক্কা গাড়িতে উঠে নাবিস্কো যাচ্ছিলেন। মগবাজার যাওয়া মাত্রই বিস্ফোরণের মধ্যে পড়ে বাস।

Advertisement

তিনি জানান, তার শরীরে কাচের টুকরো লাগে, তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান তিনি। হৃদয় ঢামেক হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

দোকান কর্মচারী সুভাষ চন্দ্র সাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র সাহা জানান, তেজগাঁওয়ে ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার সময় মগবাজারে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। তার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে ২০১ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন।

সুভাষ চন্দ্রের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায়। তার বাবার নাম মনমোহন চন্দ্র সাহা। বর্তমানে সুভাষ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় বসবাস করেন।

এছাড়া শামীম (৩০) নামের একজন ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হলেও সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

এএএইচ/এমএস