মগবাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভূপাতিত ভবনটিতে ১২ শতাংশ বিস্ফোরক গ্যাসের উপস্থিতি ছিল। এই গ্যাসের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল মিথেন। এই গ্যাস বাতাসে মিশেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
Advertisement
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের (সিটিটিসি) অনুসন্ধানী দলের দেয়া তথ্যের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন সিটিটিসি প্রধান ডিআইজি আসাদুজ্জামান। মঙ্গলবার (২৯ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিনি।
আসাদুজ্জামান বলেন, গত রোববার রাত ৮টার পর মগবাজারে আউটার সার্কুলার রোডের ‘রাখি নীড়’ ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা কমিটির সব সদস্য আজ (মঙ্গলবার) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখতে আমরা কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, কোথাও গ্যাস জমে বদ্ধ অবস্থা তৈরি হয়ে ৫ থেকে ১২ শতাংশ গ্যাস থাকলে তা বাতাসে মিশ্রিত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। মগবাজারের ঘটনাস্থল থেকে মিথেনসহ ১২ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, কোথাও গ্যাস বিস্ফোরিত হলে সাধারণত ফাঁকা জায়গা দিয়ে বের হয়ে যায়। আর বিস্ফোরিত গ্যাস বাধাগ্রস্ত হলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সব বিষয়ে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কোথা থেকে গ্যাস বের হয়েছে তা খোঁজা হচ্ছে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এমএইচএম/এসএস/জিকেএস
Advertisement