রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণ বিধ্বস্ত ভবনের কেয়ারটেকার ছিলেন হারুনুর রশিদ (৭০)। রোববার (২৭ জুন) বিস্ফোরণের পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না।
Advertisement
ঘটনার পর থেকে বাবার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজে ফিরছেন মেয়ে হেনা বেগম।
হেনা বেগম বলেন, ‘আমরা বাবা ওই ভবনে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন।গত দুইদিন ধরে সব হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। বাবাকে কোথায় পাইনি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘বিধ্বস্ত ওই ভবনের পেছনের একটি ঘরে বাবা থাকতেন। ওই ঘরে এখনো লাশের পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয়- ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে বাবার লাশ চাপা পড়েছে। স্তুপ সরিয়ে লাশ উদ্ধারে কেউ সহায়তা করছেন না।’
Advertisement
হেনা বেগম বলেন, ‘দুর্ঘটনার দিন রোববার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাবার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয়। ওই সময় তিনি ভবনের পেছনের ঘরে ছিলেন। আমার বাবার বয়স ৭০ বছর। বৃদ্ধ বয়সে কাজ ছাড়া তিনি কোথাও যান না।’
‘আমার বাবা যদি সত্যিই মরে যায়, তাহলে তার লাশটা অন্তত আমাকে দেন। নিজ হাতে দাফন করে সান্ত্বনা পাই। লাশও যদি না পাই, তাহলে সারাজীবন কোন সান্ত্বনা নিয়ে বেঁচে থাকব’ বলে কেঁদে ফেলেন হেনা।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে তিনতলা একটি ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৭ জন নিহত এবং অন্তত দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়।
এনএইচ/এএএইচ/এমকেএইচ
Advertisement