অনাস্থা ভোটে হারার এক সপ্তাহ পর পদত্যাগ করেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার আন্দ্রিয়াস নোরলেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। স্টেফানই প্রথম কোনও সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী যিনি সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটিতে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।
Advertisement
গত ২১ জুন দেশটির পার্লামেন্টে স্টেফান লোফভেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিল বামপন্থী হিসেবে পরিচিত সুইডিশ ডেমোক্রেটিক পার্টি। সে ভোটাভুটিতে পার্লামেন্টের ৩৪৯ জন সদস্যের মধ্যে তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল ১৮১ জন। ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন ৫১ জন। ফলে পতন ঘটে স্টেফানের নেতৃত্বাধীন সরকারের।
অভিযোগ রয়েছে, হেরে যাওয়ার পরেও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চেয়েছেন স্টেফান লোফভেন। করোনা মহামারির বিপর্যয় দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। কিন্তু নানা ধরনের চাপে টিকতে পারলেন না স্টেফান। পদত্যাগপত্র জমা দিলেন স্পিকারের কাছে। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু এছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। কারণ অনাস্থা ভোটে আমি হেরেছি’।
তিনি আরও বলেন,’সুইডেনে পরবর্তী নির্বাচনের এখনও এক বছরের বেশি সময় বাকি। করোনার এ সময়ে দেশকে সুরক্ষা দিতে হবে। এসব দিক বিবেচনায় আমি স্পিকারের কাছে আমার অব্যাহতির অনুরোধ জানিয়েছি। একই সঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের অনুরোধ করেছি’।
Advertisement
আগামী বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সুইডেনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে ততদিন পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পার্লামেন্ট স্পিকার আন্দ্রিয়াস নোরলেন এরইমধ্যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এএমকে/এএসএম
Advertisement