লকডাউনের আতঙ্কে রোববার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলেও সোমবার লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে। আতঙ্ক দুলে ঠেলে বিনিয়োগকারীরা কেনার আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছেন।
Advertisement
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তীতে সাতদিন কঠোর লকডাউন এবং বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার।
এতে লকডাউনেরর মধ্যে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সার্বিক শেয়ারবাজারে। ফলে রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ১০০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
তবে রোববার সন্ধ্যার দিকে লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে রিকশা ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে। খোলা থাকবে ব্যাংকসহ সবধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
Advertisement
এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে যে কোনো পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন চলমান থাকবে। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটের লেনদেনেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে পতন প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। আর ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৬৬ কোটি ১২ টাকা।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৮৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।
এমএএস/এমআরএম/জিকেএস