রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট মোড়ে অবস্থিত আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর ভবনের সামনে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে আশপাশের আরও ১৪টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
Advertisement
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণে ১২টি বাণিজ্যিক ভবন ও ২টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩টি যাত্রীবাহী বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো হলো- আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর ভবন, রাশমনো স্পেশাইলাজড হাসপাতাল, নজরুল শিক্ষালয়, আড়ং শোরুমের ভবন, বিশাল সেন্টার, ডম-ইনো’র বাণিজ্যিক ভবন, বেস্ট বাই শোরুমের ভবন, বেঙ্গল ট্রেডস সেন্টার ভবন, ক্যালকাটা ড্রাই ক্লিনার্সের ভবন, মগবাজার প্লাজা, হামদর্দ চিকিৎসা ও বিক্রয় কেন্দ্র এবং ভিশন অ্যাম্পোরিয়ামের শোরুম থাকা ভবন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর প্রতিটিই বহুতল। প্রতিটি ভবনে একাধিক দোকানসহ বাণিজ্যিক অফিসের কার্যালয় রয়েছে। বিস্ফোরণে এসব দোকান ও অধিকাংশ অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
তবে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত দুইটি আবাসিক ভবনের নাম জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে এসে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কোনো নাশকতা নয়, গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণটি হয়ে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি বিস্তারিত ফায়ার সার্ভিস বলতে পারবে। আমাদের জানা মতে ঘটনাস্থলের আশপাশের ৭-১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘৭টা ৩৪ মিনিটে আমরা খবর পাই। আমাদের টিম এখানে আসে। এটি একটি তিনতলা ভবন। এর নিচতলায় ফাস্টফুডের দোকান, দ্বিতীয় তলায় সিঙ্গারের একটি গোডাউন ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণে ব্লাস্ট ওয়েভ ও সাউন্ড ওয়েভ সৃষ্টি হয়। এতে আশপাশের ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের সব পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি এখনই বলতে পারি এই ভবন বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গ্যাস বা এ জাতীয় কোনো কিছুর মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আমরা পরীক্ষা করছি। গ্যাস জাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে। এ ঘটনায় ৩৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে ১৭ জন। মোট আহত হয় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ।’
টিটি/এমএইচআর/এআরএ