আজ ৮ ডিসেম্বর, চাঁদপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় চাঁদপুর। মুক্ত দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য অঙ্গীকারের পাদদেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তারা। এছাড়া শহীদ বেদিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।১৯৭১ সালে চাঁদপুর থানার সামনে বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে পাকিস্তানি বাহিনী। ১৯৯২ সাল হতে আনুষ্ঠাানিকভাবে মাসব্যাপি বিজয় মেলা শুরুর মাধ্যমে ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। এবারও এ উপলক্ষে হাসান আলী স্কুল মাঠে শুরু হয়েছে বিজয় মেলা।১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল চাঁদপুরে দখলদার বাহিনী দুটি বিমান থেকে সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রথম আক্রমণের সূচনা করে। প্রথম দিনের হামলায় শহরের পুরান বাজারের একজন নারী পথচারী নিহত হন। ৮ এপ্রিল বিকেলে প্রায় ৫শ পাকিস্তনি সেনাবোঝাই একটি বহর চাঁদপুর আসে।শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে। চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় হানাদার বাহিনীরা মক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষদের মেরে মেঘনা নদীতে ফেলে দিতো।চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলার বীর মুক্তিযুদ্ধাদের নামের তালিকাসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ব। চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে নিহত শহীদদের সমাহিত করা হয় রাজারগাঁও নাছিরকোর্ট এলাকায়।ইকরাম চৌধুরী/বিএ
Advertisement