বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রেকর্ড ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে, জেলাটিতে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের আরোপ করা সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
চারদিন ধরে দোকানপাট, শপিংমল ও অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল তিন হাজার ৫৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ জন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে রেকর্ড ৪১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪২ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।
এদিকে, বাগেরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের আরোপ করা সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়দের বাড়িতে রাখতে এবং রাস্তাঘাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
Advertisement
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসলে তাদের জরিমানা করছে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত তিনদিনে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছে তারা। এ সময়ে মামলা হয়েছে ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাগেরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ২৪ জুন থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই বিধিনিষেধ না মেনে যারা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করছেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ জরিমানা করা হচ্ছে।
সংক্রমণরোধে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিনই কঠোর নজরদারি করছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
শওকত আলী বাবু/এমআরএম/এমএস
Advertisement