পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটবোন রোকেয়া বেগম। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি এ অভিযোগ করেছেন।
Advertisement
গত বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ৩২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেন তিনি। তবে শনিবার (২৬ জুন) রাত পর্যন্ত অভিযোগটি রেকর্ড হয়নি বলে অভিযোগ রোকেয়া বেগমের।
রোকেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, “এজাহারে ওই ঘটনার ‘নির্দেশদাতা’ কাদের মির্জার নাম থাকায় পুলিশ ‘টেকনিক্যালি অ্যাভয়েড’ করছে। এজাহার দেয়ার পর পুলিশ তাকে মেয়র কাদের মির্জার নাম বাদ দিতে বলেছে।” তবে ওই নাম বাদ দিলে মামলার প্রয়োজন নেই বলে পুলিশকে জানিয়েছেন রোকেয়া বেগম।
রোকেয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেদিন কেচ্ছা রাসেলসহ যারা আমার বাসায় হামলা চালিয়েছে সবাই কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার (কাদের মির্জা) নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে হত্যা করতে এসেছিল।’
Advertisement
থানায় দেয়া অভিযোগে ভাই কাদের মির্জাকে ৪ নম্বর আাসামি করেছেন সেতুমন্ত্রীর বোন। প্রধান আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শহীদ উল্যাহ রাসেল প্রকাশ কেচ্ছা রাসেলকে। এ মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জাগো নিউজকে জানান, এজাহারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে মাত্র ১০ ফুট দূরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটবোন রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এ হামলার জন্য তার ভাই বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজনকে দায়ী করেন। রোকেয়া বেগমের ছেলে ও সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত কাদের মির্জাবিরোধী আওয়ামী লীগের অনুসারী এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থক।
এর আগেও গত ১২ জুন সকালে প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর আক্রমণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া এজাহারে কাদের মির্জার নাম থাকায় রেকর্ড করেনি পুলিশ।
Advertisement
তবে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে এসব হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমকেএইচ