রাজশাহীতে ৪৫ দিন বয়সী এক শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। শিশুটির নাম আফরিন রহমান। তার বাবা আরিফুর রহমান। তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
বাবা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত দেড় মাসের শিশুকে নিয়ে কখনো সরকার হাসপাতাল, আবার কখনো বেসরকারি ক্লিনিকে ঘুরছেন মা মাহবুবা।
শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। ছোট্ট শিশু আফরিন এখন হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ডে) চিকিৎসাধীন।
শিশুটির মা মাহবুবা বলেন, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বাচ্চার ঠান্ডা-জ্বর হয়েছে। পরে যখন ওর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে, তার ছটফট করা দেখে সন্দেহ হয়। সেজন্য গত ২০ জুন রাজশাহী রেলগেট এলাকায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করায়। রিপোর্ট আসে আফরিন করোনা পজিটিভ।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ওই ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা তখনই বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছিলেন। কিন্তু তখন তাদের কথা শুনিনি। বাসাতে থেকেই স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াচ্ছিলাম।’
শিশুটির মা আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বাচ্চার খুব সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঘুমায় না, ঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না, কান্নাকাটি করে। তাই বাধ্য হয়ে আমি তাকে খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান—তাদের হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নেই। এরপর বেসরকারি রয়্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও তাকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে বাধ্য হয়ে শনিবার দুপুরে রামেকে ভর্তি করেছি।
মাহবুবা জানান, তার বাড়ি নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট বনগ্রাম বড় রাস্তার মোড় এলাকায়। তার স্বামীও করোনাক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু আফরিন ও তার বাবা করোনা পজিটিভ। তাই তিনি ধরে নিয়েছেন তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তার শরীরে কোনো উপসর্গ নেই এবং সুস্থ রয়েছেন। পরিবারে স্বামী ছাড়া আর কেউ না থাকায় তিনিই বাচ্চাকে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, রামেকে শিশুদের জন্য আলাদা কোনো করোনা ওয়ার্ড নেই। তাই আপাতত বাচ্চাটিকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি এখন ভালো আছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘করোনায় আলাদা কোনো চিকিৎসা নেই। বড়দের থেকে ছোটদের ওষুধের ডোজটা সামান্য কম হবে। তাই ওই ওয়ার্ডে রেখেই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
ফয়সাল আহমেদ/এএএইচ/জেআইএম