স্বাস্থ্য

প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ

প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সঠিক পরিসংখ্যান ও চিকিৎসক, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট, সমাজকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর মিল্টন হলে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিক্যাল মেডিসিন ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাসকুলোস্কেলেটাল মেডিসিন-এর উদ্যোগে ‘অক্ষমতা ও প্রতিবন্ধীত্বের ভার কমাতে পুনর্বাসন চিকিৎসাসেবায় গুরুত্ব : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ  অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিক্যাল মেডিসিন-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল­াহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিএসএমএমইউ’র ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শামসুন নাহার, দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ সংবাদদাতা শিশির মোড়ল, ডা. মো. শহীদুর রহমান, ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, ডা. মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ’র হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ডা. মো. আবদুস শাকুর, ডা. মো. আলী ইমরানসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সামাজিক, স্বাস্থ্যগত (চিকিৎসাসেবা), কর্মসংস্থানসহ সংশ্লিষ্ট সকল দিক থেকেই বা সার্বিক পুনর্বাসন নিশ্চিত করার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি মাতৃস্নেহে প্রতিবন্ধীদের বুকে টেনে নেন- যা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার কাজে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবাখাত একটি সম্ভাবনার জায়গায় উন্নীত হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১০১টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, ১৫ হাজার পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক রয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি চালু হওয়া চারটি বিষয়সহ ৮৯টি পোস্ট গ্রাজুয়েট বিষয় চালু রয়েছে-যা দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের সফল সম্ভাবনাময়কেই তুলে ধরে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল­াহ সিকদার বলেন, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয় করা জরুরি। পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদেরকেও একজন সুস্থ মানুষের সমান মর্যাদা ও গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিবন্ধীদের বোঝা হিসেবে দেখার মানসিকতা আমাদেরকে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল তার বক্তব্যে প্রতিবন্ধীদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ সংবাদদাতা শিশির মোড়ল বলেন, প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে মানুষের সচেতনতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রতিবন্ধীদের দেখে মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করেন না।        এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement