আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া আসন্ন জনশুমারিতে আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
শনিবার (২৬ জুন) জনশুমারি-২০২১ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিভাজিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিসংখ্যান শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, আদিবাসীরা মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা আগে পেতে পারেন। কারণ তারা অধিকাংশই গ্রামে বাস করেন। তাদের খুঁজে বের করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে আমি সরকার বরাবর অবশ্যই দাবি তুলে ধরব।
এম এ মান্নান বলেন, কোভিডের কারণে ২০২১ সালের জনশুমারি সঠিক সময়ে শুরু হতে পারেনি। জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলে তা আমরা অক্টোবরে শুরু করব। এবার জনশুমারিতে আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করব।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের ইনস্ট্রাকশন দেয়া আছে, যে এলাকায় কাজ হবে, তথ্য সংগ্রহে সে এলাকার মানুষকে নিতে হবে। আদিবাসী এলাকার তথ্য সংগ্রহে সেখানকার স্থানীয়দের সহায়তা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, যে লোকবল দিয়ে জনশুমারি করা হবে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যেসব এনজিও আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করে তারা যদি সহায়তা করে তাহলে জনশুমারির কাজটা সহজ হবে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে কোনো সমস্যা সমাধানে বিশেষ কমিটি কাজ করে। জনশুমারিতে আদিবাসিদের অন্তর্ভুক্তিতে এ বিশেষ কমিটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, প্রত্যেক আদমশুমারিতে সুকৌশলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে এড়িয়া চলার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে আমাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠী অবহেলিত হচ্ছে। তাদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
Advertisement
এএলআরডি ও দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত অনলাইন বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় প্রমুখ।
এসএম/এমআরএম/এমকেএইচ