দারিদ্র্য বিমোচনে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
Advertisement
শনিবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বাপার্ড) অনুষ্ঠিত ‘দারিদ্র্য বিমোচনে বাপার্ড; সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। রাজধানীতে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় সেমিনারে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন এবং গৃহহীন ৯ লাখ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক পরিবারকে জমির মালিকানাসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ গ্রহণ করে বিশ্বের সামনে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা নজিরবিহীন। দারিদ্র্য বিমোচনে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
স্বপন ভট্টাচার্য আরও বলেন, জাতির পিতার পুণ্যভূমি এ গোপালগঞ্জ। তিনি বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার ইচ্ছা ছিল বাঙালি জাতি মর্যাদার সঙ্গে সারা পৃথিবীতে বিচরণ করবে। জাতির পিতার সেই স্বপ্নসাধ পূরণে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ ডলার, যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯৪৭ ডলার ও প্রায় এক হাজার ২০০ ডলার। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১২০ ডলার, যেখানে পাকিস্তানের ছিল ১৮০ ডলার।
সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষকর্মী গড়ে তোলার পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাপার্ডের মহাপরিচালক শেখ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও বিআরডিভির মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুণ্ডু।
আইএইচআর/জেডএইচ/এমকেএইচ
Advertisement