দেশজুড়ে

সচিব যদি স্লোগান দিতে পারেন তাহলে আমি কোন তড়িৎ

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ বলেছেন, সচিব যদি বক্তৃতা শেষে দলীয় স্লোগান দিতে পারেন তাহলে আমি কোন তড়িৎ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তার চেম্বারে (বেসরকারি প্রাকটিসের) জাগো নিউজকে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ক্ষমতাসীন দলের খুলনা জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তিনি।তবে চাকরিজীবী হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া যায় কীনা তা তিনি জানেন না। এ বিষয়ে প্রমাণের অপেক্ষায় আছে খুলনার স্বাস্থ্য প্রশাসন।কিন্তু প্রমাণ যোগাড় করার জন্য তাদের কোনো চেষ্টাই পরিলক্ষিত হয়নি।সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫-২০১৮ সালের জন্য খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দেন। এই কমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন খুলনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তড়িৎ কান্তি ঘোষ।যা নিয়ে খুলনার চিকিৎসা প্রশাসনে তোলপাড় চলছে।অবশ্য সিভিল সার্জন ডা. ইয়াসিন আলী সরদার বলছেন, সরকারি চাকরিজীবী কেউ রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকতে পারবেন না, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষের দাবি সরকারি চাকরিজীবীরা সরাসরি দলীয় কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে পারবে কীনা এই বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এটা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হয় তবে আমি চাকরি ছেড়ে দেব। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মাসুম আলী বলেন, সরকারি চিকিৎসকের নাম রাজনৈতিক কোনো দলের কমিটিতে থাকার সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।তবে তিনি বলেন, প্রমাণ যোগাড় করবে সিভিল সার্জন। এ বিষয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. ইয়াসিন আলী সরদার এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি চাকরিজীবী কেউ রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকতে পারবেন না, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।   জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশীদি সুজা জানান, প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত অনুমোদন হওয়া খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি প্রথমে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। তারপর লোক মারফত উক্ত কমিটির তালিকাও আমি পেয়েছি। কিন্তু কোন ধরনের লোক নিয়ে বা কাদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল তা আমার জানা ছিল না। তবে কোনো সরকারি চাকরিজীবী রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকতে পারেনা এটা নিশ্চিত। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর এ কমিটিতে রয়েছে তাই এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ জানান, যদি কোনো সরকারি চাকরিজীবী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাদ দেওয়া হবে। কমিটি অনুমোদনের পূর্বে কে বা কারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাচ্ছেন এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয় কীনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি

Advertisement