সারাদেশের মতো রাজধানীর হাসপাতালগুলোতেও ফের করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আসছে করোনা রোগী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করছেন রোগীর স্বজনরা।
Advertisement
বেলা ১১টা পর্যন্ত রোগীর চাপ না থাকলেও, ১২টার পর রোগী বাড়তে শুরু করে হাসপাতালটিতে। মাত্র আধাঘণ্টায় অন্তত ১০ জন করোনা রোগীকে চিকিৎসা নিতে আসতে দেখা যায়।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ইউনিটে সিট ফাঁকা আছে মাত্র সাতটি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। হাসপাতালের ১০টি আইসিইউ বেডের একটিও ফাঁকা নেই। আর একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন।
হাসপাতালের কর্মকর্তা ইব্রাহিম জানান, গত এক সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে আট থেকে ১০ জন করে দিনে করোনা রোগী এলেও, এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা নিতে দিনে ৪০ থেকে ৪৫ জন করে রোগী আসছেন।
Advertisement
বগুড়া থেকে কুর্মিটোলায় চিকিৎসা নিতে এসেছেন চাকরিজীবী রাশেদুল। এক সপ্তাহ ধরে তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা গেছে বলে জানান তার ছোট ভাই রনি।
তিনি বলেন, করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পন্ন করার পরও ভাইয়ের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা গেছে। গতকাল তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে কুর্মিটোলায় এসেছি। তবে এখানকার চিকিৎসক সবকিছু দেখে ভর্তি নিচ্ছেন না। বলছেন ফিরে যেতে।
রনি বলেন, গতকাল অক্সিজেন লেভেল ফল করছিল। সারারাস্তায় অক্সিজেন লাগানো ছিল। এখন একটু ভালো অনুভব করায় আজ ভর্তি নিচ্ছে না। চিকিৎসক বলছেন, রোগীর কন্ডিশন ভালো, এখানে ভর্তি নেয়া হবে না।
জানতে চাইলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রশিদ হাসান বলেন, সিট ফাঁকা নেই বিধায় অপেক্ষাকৃত কম অসুস্থ রোগীকে আপাতত ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। যেসব রোগীর জ্বর কম, অক্সিজেন লেভেলও ভালো তাদের বাসায় চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিচ্ছি।
Advertisement
এসএম/বিএ/এমএস