জোকস

সপ্তাহের রসালাপ : নাক গলালে কার কী?

পারস্পরিক অভিযোগ আর ভর্ৎসনার কারণে আমি চূড়ান্ত বিরক্ত। কোনো কিছু করতে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে শলা-পরামর্শ করা ছেড়ে দিয়েছি তাই। এমনকি আমাকে সে কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও কান দেই না তাতে। আমার জন্য এটাই সুবিধাজনক। নার্ভও শান্ত থাকে।

Advertisement

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানিয়ে খেয়ে নেই। নাস্তা শেষে কাপড়-চোপড় পরে প্রায় নিশব্দে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই। বিশ্রাম নিক সে—এই ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দেই।

অফিসে মাঝেমধ্যে মনে পড়ে তার কথা। মূলত একেবারেই বেমক্কাভাবে এবং অসময়ে। তারপর কাজের চাপে আবার তাকে ভুলে যাই।ঘরে ফিরি সচরাচর বেশ দেরিতে। ফিরে অনুভব করি, সে বরাবরের মতোই ঘুমিয়ে আছে।

দংশন না করলেই আর কোনো সমস্যা নেই—ভেবে ঘুমাতে যাই ক্লান্ত আমি। কিন্তু সে আমাকে ঘুমোতে দেয় না। অতিবাহিত দিনের প্রতিটি ক্ষুদ্রতম ঘটনারও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে থাকে। সব কিছুতেই তার নাক গলানো চাই! এমনও হয়, ভোর পর্যন্ত অভিযোগমালা দাখিল করতে থাকে সে—আমার বিবেক।

Advertisement

লেখা: দ. এরদিনেয়েভ

দুই.সবাই খুব হিংসা করে আমাকে। আমি কিন্তু কাউকেই করি না। তাদের দিকে তাকিয়ে দেখি, হিংসায় হলুদ হয়ে গেছে তারা। আমি নির্লিপ্ত। কারণ, আমার আছে দুটি শব্দ—‘তাতে কী’!

ধরা যাক, সেরেদকিনা একেবারে হাল ফ্যাশনের এক জোড়া জুতা কিনেছে। আমি ভাবি, তাতে কী! সে তো গ্রীষ্মকালে ছুটি পাবে না, পাবে ডিসেম্বর মাসে।

নুত্রোভের ভাইয়ের বিশাল বাড়ি আছে ইয়াল্টায়। তার বোন অতিকায় এক দোকানের ডিরেক্টর। আমি ভাবি, তাতে কী! তার নিজের তো গ্যাস্ট্রিক!

Advertisement

সেকলেতারেঙ্কোর স্বামী পিএইচডি করেছে। আমি ভাবি, তাতে কী! স্কুলে তাদের মেয়ের তো রেজাল্ট খুবই খারাপ।

রেপকিন এক কাঁড়ি টাকা জিতেছে লটারিতে। আমি ভাবি, তাতে কী! অন্য শহর থেকে অতিথি এসে তার বাসায় পড়ে আছে এক মাস ধরে। তবে হিংসার প্রয়োজনটা যে কী, সেটাই তো বুঝি না!

লেখা: ইনা গামাজকোভাছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

এসইউ/এমএস