ভোলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৫ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।এর আগে গত রোববার যাচাই বাছাই শেষে তথ্য গোপন করা, মামলার বিবরণ না দেয়া, আয়কর রির্টান দাখিল না করা, প্রস্তাবকারীদের সাক্ষর জাল করার অপরাধে বিএনপি সমর্থিত ৮ জন ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক জনসহ ৯ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।এদিকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বলে জানান রির্টানিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কামার সিকদার ও নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মনজুর আলম, ২ নং ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী ইব্রাহীম খোকন, ৩ নং ওয়ার্ডে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি উপজেলা অাওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন লিংকন, ৭ নং ওয়ার্ডে জেলা শ্রমিক লীগ সম্পাদক বর্তমান কাউন্সিলর শাহেআলম। এছাড়া ৯ নং ওয়ার্ডে ২ প্রার্থী যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম হোসেন শামিম ও তার স্ত্রীর জুন্নু রাইন লিপি। লিপি ড্যামি প্রার্থী। তিনি তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের আবেদন করায় শামিম একক প্রার্থী হন।অপরদিকে যাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন, ২নং ওয়ার্ডে যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম ওমর। তার বিরুদ্ধে প্রস্তাবকারীর স্বাক্ষর জালের অভিযোগ। ৩নং ওয়ার্ডের জেলা মহিলা বিএনপির সম্পাদক বিলকিস জাহান মুনমুন। তার অভিযোহ তথ্য গোপনের। ৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন। তিনি মামলা জনিত তথ্য না দেয়ায় মনোনয়ন বাতিল। ৫ নং ওয়ার্ডে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বর্তমান কাউন্সিলর বশির আহমেদ হাওলাদার, ৭নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা মোশারফ আলম তানজিল ও জাফর উল্লাহ ছোটন। এরা সম্পদের তথ্য গোপন করেন। ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা কাদেরী কিবরিয়া মৃত বাবাকে জীবিত দেখিয়ে সম্পদের আয়কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে নাজনিন আক্তার রুমা ও ৩নং ওয়ার্ডে রাজিয়া সুলতানার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। অমিতাভ অপু/ এমএএস/পিআর
Advertisement