ফিচার

স্ট্রবেরি সুপারমুন দেখতে কেমন?

রাতের আকাশে উজ্জ্বল এক চাঁদ। এর নাম দেওয়া হয়েছে স্ট্রবেরি মুন। আজ রাতের আকাশে দেখা মিলবে অদ্ভূত সুন্দর এই চাঁদের সৌন্দর্য। রেড বা ব্লু মুনের কথা হয় তো শুনেছেন।

Advertisement

তবে স্ট্রবেরি মুন সম্পর্কে জানেন কি? দেখতে কেমন এই সুপারমুন? নিশ্চয়ই ভাবছেন, স্ট্রবেরির মতো গোলাপি রং হবে এই চাঁদের! আসলে স্ট্রবেরির সঙ্গে এই চাঁদের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। তাহলে এই নামের কারণ কী?

স্ট্রবেরি মুন-এর মাধ্যমে উত্তর গোলার্ধে বসন্তের শেষ পূর্ণিমাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর থেকেই গ্রীষ্ম শুরু হচ্ছে ধরা হয়। আর এই সময়েই ক্ষেতের পাকা স্ট্রবেরি তোলা হয়ে থাকে।

সেই কারণেই একে স্ট্রবেরি মুন বলা হয়। পূর্ণিমায় যেমন আকাশজুড়ে গোলাকার এক বিশাল চাঁদের দেখা মেলে, স্ট্রবেরি মুনও ঠিক তেমনই। তবে আকার আরও একটু বড় দেখাবে।

Advertisement

অন্যদিনের তুলনায় আজ রাতের চাঁদ আলোও ছড়াবে অনেক, অর্থাৎ বেশ উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেবে। হালকা লালচে, কমলা আভা থাকে স্ট্রবেরি মুনে। তবে যত দিগন্ত থেকে মাঝ আকাশে উঠবে, হলদে ভাব বাড়বে। সেই সঙ্গে বেশ উজ্জ্বল।

২৪ তারিখ রাতের আকাশে স্টবেরি মুন দেখার জন্য উৎসুক বিশ্ববাসী সঙ্গে জৌতির্বিদরাও। শুধু স্ট্রবেরি মুন নয় একে ব্লুমিং মুন, বার্থ মুন, হানি মুন এমনকি মিড মুনও বলা হয়ে থাকে। এমনকি গ্রীষ্মের আগমনকে সূচিত করে বলে একে হট মুন-ও বলা হয়ে থাকে।

জৌতির্বিজ্ঞানের ভাষায় এই চাঁদকে বলা হয় সল্সটাস। জুন মাসেই স্ট্রবেরি মুন দেখা যায়। জুন মাসের এই পূর্ণিমা থেকেই উত্তর মেরুতে গ্রীষ্ম শুরু হয়। দিন ছোট হতে থাকে এবং রাত বড় হয় ধীরে ধীরে। এই স্ট্রবেরি মুন নিয়েও নানা গল্প আছে।

যেমন- আলগুইন উপজাতিরা নাকি মনে করে জুন মাসের পূর্ণিমার দিন থেকেই তাদের ফলানো স্টব্রেরি পাকতে শুরু করে। এরপর তারা ফসল কাটতে শুরু করে। তাই এ পূর্ণিমার চাঁদকে তারা স্ট্রবেরি মুন বলতেই ভালোবাসে। ঠিক যেমন ইউরোপে রোজ মুন অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে হট মুন হিসেবে এই চাঁদকে আখ্যা দেওয়া হয়।

Advertisement

আগামী মাস অর্থাৎ জুলাইয়ের ২৪ তারিখে দেখা মিলবে বাক মুন, এরপর আগস্টের ২২ তারিখে রাতের আকাশ উজ্জ্বল হবে স্টারজিওন চাঁদের আলোয়। ২০ সেপ্টেম্বর উঠবে হারভেস্ট মুন।

২০১৯ সালে শেষবারের মতো দেখা দিয়েছিল হারভেস্ট মুন। এই চাঁদকে আবার মাইক্রো মুনও বলা হয়। পূর্ণিমায় এ চাঁদকে তার আকারের তুলনায় ১৪ শতাংশ ছোট ও ৩০ শতাংশ ডিম্বাকার রূপে দেখা যায়।

সূত্র: স্পেস/ওয়াশিংটন পোস্ট

জেএমএস/এএসএম