দেশজুড়ে

দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ, তবু ভাবলেশ নেই শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে

যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। ফলে জেলার সকল উপজেলাতে কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) চলছে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে। কিন্তু শার্শা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের চিত্র দেখলে রীতিমত চোখ কপালে উঠার উপক্রম।

Advertisement

বুধবার (২৩ জুন) সরেজমিনে শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দেখা যায়, সেখানে ব্যাপক জনসমাগম। সকলে মিলে করোনা উপেক্ষা করে যেন জমি বেচাকেনার এক মহা উৎসবে মেতেছে। ১৫-২০ জন মিলে একজন দলিল লেখককে ঘিরে ধরছে। কিছু লোকের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগের মাস্ক থুতনির নিচে, হাতে এবং কিছু লোক পকেটে নিয়ে ঘুরছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রাস্তার বিপরীতে আছে খাবার হোটেল। সেখানের কর্মচারীরাও মাস্কবিহীন রাস্তার এপাশে এসে জনগণকে খাবার খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরে আরও দেখা গেল, সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং সামাজিক দূরত্বের কোনো তোয়াক্কা না করে যে যার মতো চলছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের গেটেও মানুষের এত ভিড় যে, পা রাখার জায়গা নেই। সকলে অফিসের ভেতরে প্রবেশের জন্য চাতক পাখির মত চেয়ে আছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত উপজেলার জনগণ। তারা মনে করছেন, এর ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে।

অথচ খোদ যশোর জেলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। একই সময়ে করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন। গত দুইদিনে মারা গেছেন ১৯ জন। যাদের মধ্যে শার্শা উপজেলায় আক্রান্তের হার অনেক বেশি। করোনা সংক্রামণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সাতদিনের জন্য কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

শার্শার একজন শিক্ষক বলেন, যেখানে শার্শা উপজেলাসহ পুরো জেলা লকডাউন, সেখানে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস খোলা রেখে প্রশাসন কী ফায়দা পাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।

এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রারের ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, আসলে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি জানলাম এবং আমি এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব। যেহেতু আমাদের জেলা এবং উপজেলায় কঠোর লকডাউন চলছে, সেহেতু আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব এটা বন্ধ রাখার জন্য।

জামাল হোসেন/জেডএইচ/এএসএম

Advertisement