লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুকে হত্যাচেষ্টা ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ২৩৪ জনের নামে মামলা করেছেন তার গাড়িচালক নিজাম উদ্দিন।
Advertisement
বুধবার (২৩ জুন) সকালে কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পিসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৮০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় তোরাবগঞ্জের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ইসমাইল হোসেন, মো. শরিফ, আবদুল মতিন ও মো. সবুজ নামে চারজনকে গ্রেফতার করে বুধবার (২৩ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২১ জুন (সোমবার) দুপুরে ইউপি নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু সাংগঠনিক কাজে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডারের দিকে গাড়িবহরযোগে যাচ্ছিলেন। পথে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় পিংকু গাড়ি থেকে নামতেই হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলায় পিংকুসহ অন্তত আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
Advertisement
অন্যদিকে পিংকুর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুদিন ধরে জেলা শহর ও তোরাবগঞ্জে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করতে আলটিমেটাম দেয়া হয়।
এছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক ভাবে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে রতন ও বাপ্পি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তারা অতর্কিতভাবে গাড়ি ও দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের পিটিয়ে-কুপিয়ে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Advertisement
কাজল কায়েস/আরএইচ/এএসএম