রাফিদ, ইমন, তানভির ও রাজ—এ চার স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে ‘এটিসি’। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১০ হাজারে পৌঁছানোর পর চ্যানেলটি ডিলিট হয়ে যায়। তারপর নতুন করে শুরু। আর পেছনে ফিরতে হয়নি। বিশ্বমানের টেক রিভিউ করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেন এ চার জন। শূন্য থেকে প্রায় ১.৩৭ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার আছে চ্যানেলটির। শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজকের এ অবস্থানের গল্প শোনাচ্ছেন মমিনুল হক রাকিব—
Advertisement
প্রথম চ্যানেল ডিলিট হওয়ার পর দ্বিতীয় চ্যানেলে ১০ হাজার সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করতে সময় লেগেছে প্রায় এক বছর। শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নিজেদের মনোবল ধরে রেখেছিলেন স্বপ্নবাজ তরুণরা। দর্শক না পাওয়া, স্পন্সর না পাওয়াসহ এমন শত শত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের।
তারপর ধীরে ধীরে গতানুগতিক টেক ভিডিও থেকে বের হয়ে মানুষের সহজবোধ্য করে ভিডিও বানানো শুরু করেন তারা। ঠিক ৪ বছরের মাথায় অতিক্রম করেছেন ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক। যা টেক চ্যানেল হিসেবে দেশে প্রথম। ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের চেয়ে ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারের অনুভূতি বেশি ছিল বলে মনে করেন এটিসির অন্যতম সদস্য তুষার।
দেশের ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে এখন প্রচুর টেক চ্যানেল আছে। ব্যাপারটিকে খুবই ভালো বলে মনে করেন তারা। এটিসির সদস্যরা মনে করেন, দেশের টেক ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড়। এখানে আরও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর প্রয়োজন। প্রোডাক্ট রিভিউ একটা অংশ টেক-টিউবিংয়ের।
Advertisement
মূলত টেক-টিউবিংয়ের পরিসর অনেক বড়। অন্য ক্যাটাগরিতে কাজ করার জন্য আরও ভালো কন্টেন্ট ক্রিয়েটর প্রয়োজন। এটিসি সব সময়ই নতুন টেক-টিউবারদের অনুপ্রেরণা জোগায়। সর্বোচ্চ সাহায্য করার চেষ্টা করে।
দেশের সিপিসি রেট কম হওয়ার কারণে ইউটিউব অ্যাডসেন্স থেকে তুলনামূলক কম আয় করা গেলেও টেক-টিউবিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বেশ সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে স্পন্সর্ড কন্টেন্ট দিয়েই আয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হয়। তবে এর জন্য অবশ্যই উন্নতমানের কন্টেন্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে ইউটিউবের ক্ষেত্রে ধৈর্য এবং টিকে থাকার চেষ্টা নিয়মিত করলে সাফল্য নিশ্চিত বলে মনে করেন তুষার।
নতুন টেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উদ্দেশে তুষার বলেন, ‘সবার আগে দর্শককে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দর্শকই আপনার চালিকাশক্তি। মানুষ যেটার সাথে সহজে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, বুঝতে সহজ হয় সবার জন্য—এমন কন্টেন্ট বানানো উচিত। নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিতে হবে দর্শকের জন্য। এখানে ছেড়ে দিলেই হেরে যাবেন।’
এটিসি ভবিষ্যতে পুরোদমে এগিয়ে যাবে। নতুন নতুন টেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে। মানুষকে নতুন নতুন টেকনোলজির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আপাতত এটিসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
Advertisement
এসইউ/এএসএম