আগামী ৩০ ডিসেম্বর নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন মামা-ভাগ্নে। আওয়ামী লীগ থেকে মামা মনোনয়ন পেলেও (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছেন ভাগ্নে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মামা আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। অপরদিকে, ভাগ্নে জলঢাকা পৌরসভার বর্তমান মেয়র জাতীয় পার্টি থেকে গত ২৫ নভেম্বর রাতে কৃষকলীগে যোগদানকারী ইলিয়াছ হোসেন বাবলু। মামা ও ভাগ্নে দুইজনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে মামা আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগে মনোনয়ন না পেয়ে ভাগ্নে ইলিয়াছ হোসেন বাবলু জাতীয় পার্টিতে মনোময়নের জন্য জোর লবিং করলেও ভাগ্যে তাও জোটেনি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে অবশেষে ছিটকে পড়ে গিয়ে ভাগ্নে ইলিয়াছ হোসেন বাবলু (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছেন। মামা আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর জাগো নিউজকে বলেন, দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কা নিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিপুল ভোটে এলাকাবাসী তাকে বিজয়ী করবে বলে আশা করছি। জলঢাকার মানুষ উন্নয়ন চায়, উন্নয়নের লক্ষ্যে নৌকা প্রতীকের ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। অপরদিকে, বর্তমান মেয়র ইলিয়াছ হোসেন বাবলু জাগো নিউজকে বলেন, গত চার বছর মেয়র থাকার সময় যেখানে আমি জলঢাকা পৌরসভার রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। জলঢাকা শহরকে কাদামুক্তের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করেছি। সে কারণে পৌরবাসী আমাকে ভোট দেবে। তিনিও বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।জলঢাকা পৌরসভায় মেয়র পদে সাত মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তারা হলেন, আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর (আ.লীগ), ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (বিএনপি), শাহ আব্দুল কাদের বুলু চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম (জাসদ-ইনু), জামায়াতের পৌর আমির মকবুল হোসেন (স্বতন্ত্র), শরিফুল ইসলাম (ইসলামী শাসনতন্ত্র) এবং বর্তমান পৌর মেয়র ইলিয়াছ হোসেন বাবুল (স্বতন্ত্র) নির্বাচন মাঠে থাকছেন। ৯টি ওর্য়াডের ৪৬ জন ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী ও তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনের ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/পিআর
Advertisement