দেশজুড়ে

জীবননগরে ৭ দিনের লকডাউন শুরু

করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৬টা থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম সরকার লকডাউনের ব্যাপারে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়ক এবং নৌপথে অন্য কোনো জেলা, উপজেলা থেকে জীবননগর উপজেলায় কেউ প্রবেশ কিংবা এই উপজেলা থেকে কেউ বাইরে গমন করতে পারবে না। সব ধরনের গণপরিবহন ও জন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ ও পরিবহন এবং সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।

গরুর হাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা যাবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থায় হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।

Advertisement

শপিংমল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ ঘটে এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিমা আখতার জানান, জীবননগর উপজেলায় করোনা সংক্রমণে এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার আরও পাঁচজন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা গেছে।

উপজেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০৭ জন।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন জানান, জীবননগরে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি ও মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সাতদিনের লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Advertisement

সালাউদ্দীন কাজল/এসজে/এমএস