জাতীয়

করোনায় এক মাসে খুলনা-রাজশাহীতে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু

খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে গত এক মাসে (২২ মে থেকে ২২ জুন) ৫২১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে ২৭৬ ও রাজশাহী বিভাগে ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এক মাসের ব্যবধানে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় শুধু মৃত্যুই নয় এ দুটি বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বেড়েছে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চের পর থেকে আজ ২২ জুন পর্যন্ত করোনা শনাক্তে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে মোট ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭০২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি বিভাগে মোট ৭৬ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৭ জনের মৃত্যু হয় খুলনা বিভাগে। ঢাকার প্রায় দ্বিগুণ ও চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়ে আড়াইগুণ বেশি মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম ১০, রাজশাহীতে ১৪, বরিশালে দুই, সিলেটে তিন এবং রংপুর বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন ও নারী ৩৪ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন ও বাসায় চারজন মারা যান।

Advertisement

এই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও চার হাজার ৮৪৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫২৮টি ল্যাবরেটরিতে ২৫ হাজার ৩৩৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৫ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই হাজার ৯০৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এমইউ/ইএ/জিকেএস

Advertisement